কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আধ্যাত্বিক বাউল কবি শিল্পী লালনের পদধূলিতে ধন্য আদি লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম পুন্যভুমি কুষ্টি্যা জেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার মিল্টন খন্দকারের পরিবারের সন্তান টোকিও প্রবাসী কন্ঠশিল্পী রতন খন্দকারের সাথে হংকং এ একটি রেস্টুরেন্টে পরিচয় হয় ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে। রতন জাপানে লেখাপড়া করেছিল ৪ বছর। আবার জাপানে যাবে কারন সে ওখানে একজ€নের নিকট হৃদয়ের বন্ধনে প্রতিশ্রুত।
ভাগ্য আমাদের দু'জনেরই ভালো ছিল বলতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক খালা যাকে গোপালগঞ্জের মানুষ লাভলু আপা হিসেবেই চিনতেন। তাঁর স্বামী মরহুম এস এ জালাল যিনি ১৯৭১ সালে টোকিও রেডিও তে বাংলা অনুষ্ঠানে খবর পড়তেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করতেন এবং তিনি জাপানী ভাষায় লেখা পড়া করেছিলেন বিধায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুসহ সকল রাষ্ট্রপ্রধানদের জাপান সরকারের সাথে সকল সভা সমিতির interpreter দ্বোভাষীর কাজটি করতেন। তিনি ছিলেন হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিশনের কমিশনার ।
হংকং কমিশনে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে রতন খন্দকার ও আমার গান গাইবার সুযোগ হল এবং খুলে গেল রতন খন্দকার ও আমার জাপানে যাবার সোনালী দ্বার।
ভিসা পেলাম। জাপান গেয়াম আমি ও রতন খন্দকার। রতন খন্দকার আগেও বলেছে" মুক্তিভাই, চলেন জাপান যাই, প্রাণ খুলে গান গাইবার এমন সুযোগ বিশ্বের কোথাও পাবেন না। আমাদের একটি সংগঠন আছে নাম "উত্তরণ"। দেখবেন ভালো থাকবেন।
বাস! জাপান গেলাম। কেউ চিনেনা জানে না। কোথায় যাই কোথায় থাকি? কে দেবে চাকুরী আশ্রয়। না ভয় পাবার কোন কারন নেই। সেখানে রয়েছে দৌলত ভাই, নাট্যকার ঝুনা চৌধূরীর ছোট ভাই মান্না চৌধূরী শাহিন এবং সকলের শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াতঃ সঞ্জয় দাদা। আশ্রয় মিলে গেল। চাকুরী মিলে গেল সাথে বোনাস হিসেবে পেলাম এক ঝাঁক সাংস্কৃতিক কর্মী শিল্পী তবলা বাদক আরো অনেক কিছু।
কেমনে ভুলি সে সোনালী দিনগুলো? কেমনে ভুলি সঞ্জয় দত্ত দাদাকে? কেমনে ভুলি রতন খন্দকার নাজিম উদ্দিন মান্না চৌধূরী। যেখানেই থাকি উত্তরন থাকে আমার অন্তরে। বড় মিস করি তোদের রতন মান্না নাজিম বাপ্পা শাহিন মনি । উত্তরণের উত্তরোত্তর আরো আরো ব্যাপক সাফল্য উন্নতি কামনা করছি। সবাই তোরা ভালো থাকিস তবে বাংলা মা"কে যেনো ভুলে না যাস।
No comments:
Post a Comment